You are currently viewing স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধে অসুবিধে

স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধে অসুবিধে

স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধে অসুবিধে : সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাদের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পটি চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গের গভরমেন্ট স্পনসরড ও গভরমেন্ট এডেড বিদ্যালয় শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য। তবে যেহেতু এই প্রকল্প বাধ্যতামূলক নয় তাই সমস্থ শিক্ষিক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা দ্বিধাগ্রস্থ। বুঝে উঠতে পারছেন না এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন কিনা। সেইজন্য আমরা আলোচনা করলাম এই প্রকল্পের কিছু সুবিধা ও কিছু অসুবিধা। নিজেরাই বিচার করে নিন, এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন কিনা?

স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধে অসুবিধে সুবিধা ও অসুবিধাগুলি কি কি জেনে নেওয়া যাক

সুবিধা :

১. বছরে মাত্র ৩৬০০ টাকায় পরিবারের প্রায় সকলেই এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারবেন। সম পরিমাণ কভারেজ পেতে গেলে অন্য হেলথ ইনসুওরেন্স এর ক্ষেত্রে বছরে কমপক্ষে ১০,০০০ টাকার মতো প্রিমিয়াম দিতে হবে।
২. স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পটি আপনি করলে আপনার স্ত্রী, বাবা, মা, শ্বশুর, শ্বাশুড়ি, সহ ১৮ বছরের নীচে সর্বাধিক ৫ জন সন্তান এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
৩. মাত্র বছরে ৩৬০০ টাকার বিনিময়ে ১. ৫ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কভারেজ পাবেন।
৪. স্বাস্থ্যসাথীর তালিকাভুক্ত রাজ্যের যে কোন হাসপাতাল বা নার্সিং হোমে চিকিৎসা করানোর সুযোগ পাবেন।
৫. স্বাস্থ্যসাথী বাধ্যতামূলক নয়, তাই করতেও পারেন আবার নাও করতে পারেন।
৬. স্বাস্থ্যসাথী ক্যাশলেশ অর্থাৎ smart card এর মাধ্যমে এর সুযোগ পাবেন।
৭. আপনি আপনার অবসর গ্রহনের পরেও স্বাস্হ্যসাথীর সুবিধা পাবেন।

স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধে অসুবিধে

অসুবিধা :

১. স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করলে আপনি আর M.A. (Medical Allowance) পাবেন না। অর্থাৎ বছরে কাটা হবে ৩৬০০ টাকা।
২. স্বামী-স্ত্রী দুজনেই স্কুলে চাকুরী করলে একজন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করলে দুজনেরই M.A. কাটা যাবে। অর্থাৎ বছরে কাটা হবে ৭২০০ টাকা।
৩. স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় সব ডাক্তার নেই অর্থাৎ পছন্দের ডাক্তার নাও পেতে পারেন।
৪. স্বাস্থ্যসাথীতে কলিকাতার নামিদামী নার্সিং হোম অন্তরভুক্ত নেই।
৫. স্বাস্থ্যসাথী তে বাইরের রাজ্যের কোথাও (যেমন ভেলোর , ব্যাঙ্গালোর ইত্যাদি) চিকিৎসা করালে অর্থ পাবেন না অর্থাৎ অন্তভুক্ত নয়। তবে অন্তভুক্তির চেষ্টা চলছে।
৬. এই প্রকল্পটি একেবারে নতুন, তাই পরিসেবা কেমন পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে কারোর স্পষ্ট ধারণা নেই।
৭. পরবর্তীতে পে-কমিশনে M.A. বাবদ টাকা বাড়লেও যারা স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অওতায় আসবেন তারা সেই বর্ধিত টাকা আর পাবেন না।

N:B:- বিষদ তথ্য পেতে এই প্রকল্পের নিজস্ব সরকারি ওয়েবসাইট এ চোখ রাখুন ক্লিক করুন

তাই আপনার সিদ্ধান্ত আপনাকে নিতে হবে, কারো কাছ থেকে শুনে সিদ্ধান্ত নেবেন না, যুক্তি দিয়ে বিচার করে সিদ্ধান্ত নিন। আর আপনি যে সিদ্ধান্তই নিন না কেন তা সম্পূর্ণ আপনার নিজস্ব বেপার। আপনার নেওয়া সিদ্ধান্তে আমাদের কোনোরূপ দায়ভার নেই।

অন্য কিছু জানতে : :  চাকুরীর খবর  ::  টেকনোলোজিক্যাল নিউজ  ::