You are currently viewing ফেসবুক হ্যাক বিষয়ক কিছু তথ্য

ফেসবুক হ্যাক বিষয়ক কিছু তথ্য

যারা নিজের ফেসবুক অ্যকাউন্ট নিয়ে সবসময় শঙ্কিত থাকেন ভাবেন এই বোধহয় হ্যাক হয়ে গেল বা যারা না জেনেই নিজের অ্যাকাউন্টকে অন্যের হাতে তুলে দিচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্য কটা কথা,-
ফেসবুক ইউজার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা কিছু লোক যতটা সহজে মুখে বলে “হ্যাক করে দেব” ততটা সোজা নয়। সোজা বাঁকা ছাড়ুন অসম্ভবই ধরে নিতে পারেন। অন্যান্য আতি পাতি সাইট গুলোতে এথিক্যাল হ্যাকিং এর নলেজ আর কিছুটা নিজ বুদ্ধি খাটিয়ে যেমন সাইটের দূর্বল জায়গা খুঁজে নিয়ে পুরো অ্যাডমিনিস্ট্রশন কন্ট্রোল কেড়ে নেওয়া যায় তেমনটা কিন্তু ফেসবুকে সম্ভব নয়। সে জায়গা ফেসবুক নিজে রাখেনি। একমাত্র সম্ভব যদি ফেসবুক অথরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে নজরদারী চালতে চায় তবেই। তাও তারা নজরদারী চালাতে পারলেও আপনার পাসওয়ার্ড পাবেনা। সেগুলি আগেই এনকোড হয়ে আছে ফেসবুকের নিজস্ব অ্যালগোরিদম দ্বারা। এবং সেই ডাটা রাখা আছে পৃথিবীর সবচেয়ে হাইসিকিওর কয়েকটি জায়গার একটি ফেসবুক ডাটা সেন্টারে । তবে আপনি ফেসবুক কতৃপক্ষের ওপর চোখ বুজিয়ে ভরসা রাখতে পারেন।
তাহলে ফেসবুক হ্যাকটা কি? কিছুই না। জাস্ট আপনার নিজের ভুলে অন্যের হাতে ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড তুলে দেওয়া।
ঘটনাটা অনেক ভাবে ঘটতে পারে। প্রথম দুটো মোটামুটি সবাই জানে। তাও একটু খুলে বলি,
আপনার ফেসবুকে দেওয়া ফোন নম্বর বা ইমেল আইডি দিয়ে ফেসবুকে সার্চ করলে আপনার অাইডিটা পাওয়া যাবে। এবার সুযোগ বুঝে একবার আপনার ফোনটা ত্রিশ সেকেন্ডের জন্য হাতিয়ে ওই উক্ত অ্যাকাউন্টের ফরগট পাসওয়ার্ড করলেই আপনার ফোনে একটা ওটিপি আসবে। ব্যাস সেটা দেখে নিয়ে আপনার ফোন যথাস্হানে রেখে দিলে আপনি টেরও পাবেন না।
ঠিক একই ভাবে আপনার ইমেলও চুরি যেতে পারে। তাই ফোন সব সময় নজরে আর ফেসবুকে ব্যবহৃত নম্বর যতটা সম্ভব গোপন রাখুন।
এটা ছিল একদম সাধারন প্রসেস। আর এই পদ্ধতিতেই বেশি ফেসবুক হ্যাক হয়। এবং যেটাকে মোটেই হ্যাক বলা চলে না।
আসি পরের ঘটনায়,ফেসবুক
ফেসবুক ওয়ালে রোজ নানা রকম থার্ড পার্টি অ্যাপ বন্ধুদের ব্যবহার করতে দেখা যায়। যেমন, be like Yourself, Your next Valentine, Your Future GF, Your Honeymoon Destination, Your Love Partner ইত্যাদি হাজারো অ্যাপ। আপনি বন্ধুদের দেখা দেখি মজা নিতে অ্যাপটিতে ঢুকে পরেন। এরপরই অ্যাপটি আপনাকে বলে আপনার অ্যাকাউন্ট প্রাইভেসি পাবলিক করতে এবং আপনার থেকে ইনবক্স ও অ্যাকাউন্ট ডিটেল অ্যাকসেসের পারমিশন চায়। আপনি নাচতে নাচতে এগ্রি/অ্যালাও করে দেন। তারপর ভ্যালেন্টাইন বা লাভ পার্টনার জাতীয় অ্যাপগুলোর ভেতরে ব্যবহৃত সফটওয়ার আপনার ইনবক্স ঘেটে যার সঙ্গে আপনি মেসেজে বেশি কথা বলেন তার নামটি দিয়ে দেয়। আপনি খুশি হয়ে যান। আর বাকি অ্যাপগুলো র্যান্ডম রেজাল্ট দিতে থাকে। প্রতিবারে আলাদা আলাদা।
এগুলো সব আপনার সামনে ঘটল কিন্তু আপনাকে না দেখিয়ে যেটা ঘটল সেটা আপনি কল্পনাও করতে পারলেন না। আপনার ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড ওদের ডাটাবক্সে জমা হয়ে গেল। এবার ধরে নিন আমি যদি ওই জাতীয় কোন একটি অ্যাপের মালিক হই তাহলে সহজেই নিজের পছন্দ মত যেকোন অ্যাকাউন্টে যেতে পারব, তার ইনবক্সের গোপন কথোপকথন পড়তে পারব বা সেই অ্যাকাউন্টে থাকা কোন পেজও সরিয়ে নিতে পারব।
আশাকরি বুঝেছেন, তাই এসব অ্যাপ থেকে দূরে থাকুন।
লাস্ট বাট নট লিস্ট,
কোন অচেনা ব্যক্তির ইনবক্সে পাঠানো কোন ভিডিও বা কোন প্রকার ফাইল ডাউনলোড করবেন না। আপনি কল্পনা করতে পারবেন না এটা কত ভয়ানক হতে পারে। সাইবার ক্রিমিনালরা অত্যন্ত চালাকির সঙ্গে একটি ম্যালওয়ার ফাইলকে এনকোড করে ভিডিও বা ফাইলের মধ্যে ঢুকেয়ে দেয়। যেটা আপনার পক্ষে দেখা মোটেই সম্ভব নয়। আর যখনই আপনি ওই ফাইলটি ডাউনলোড করবেন তখনই আপনার সম্পূর্ণ ডিভাইসের অ্যাকসেস চলে যাবে তাদের কন্ট্রোলে। তারা চাইলেই আপনার ব্যাঙ্ক ডিটেল টু ফেসবুক অ্যাকসেস সব কিছু চুরি করে আপনাকে নিঃস্ব করতে পারে।
তাই সবসময় সতর্ক থাকুন, ভালো থাকুন।