You are currently viewing উচ্চমাধ্যমিক পাস?  রোজগার করুন ৬০ হাজার টাকা

উচ্চমাধ্যমিক পাস? রোজগার করুন ৬০ হাজার টাকা

উচ্চমাধ্যমিক পাস?

উচ্চমাধ্যমিক পাস? রোজগার করতে পারেন ৬০ হাজার টাকা ৷ চাকরির এই আকালের বাজারে উচ্চমাধ্যমিক অথবা দ্বাদশ শ্রেণীর পড়া সম্পূর্ণ আগেই বেছে নেওয়া উচিত কেরিয়ার অপশন ৷ দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর এমন কিছু কোর্স নিয়ে পড়াশুনা করা উচিত যা ভবিষ্যতে আপনাকে জীবিকা বা পেশা বেছে নিতে সাহায্য করবে ৷ কেরিয়ার কনসালটেন্টরা এমনই কিছু কোর্সের কথা জানিয়েছেন, যার সাহায্যে ভবিষ্যতে আপনার মাসিক আয় ৬০ হাজার টাকারও বেশি হতে পারে ৷

প্রযুক্তির উত্থানের সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তিগত পরিবর্তন হয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রযুক্তিগত বিপ্লবের ফলে বহু আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বেড়েছে ৷ আধুনিক এই মেশিনগুলি পরিচালনা করার জন্য দক্ষ টেকনিশিয়ানের চাহিদা তৈরি হয়েছে ৷ এর ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের এই সেক্টরে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে ।

উচ্চমাধ্যমিক পাস
উচ্চমাধ্যমিক পাস? রোজগার করুন মাসে ৬০ হাজার টাকা

দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষা পাস করার পর স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে নিজের কেরিয়ার তৈরি করার কথা যদি ভেবে থাকেন তাহলে প্রথমেই জানতে হবে এই ক্ষেত্রে কি কি কাজে শূন্যপদ রয়েছে এবং কোন কোর্স আপনাকে সেই চাকরিটি পেতে সাহায্য করবে ৷ একইসঙ্গে সেই জীবিকা গ্রহণ করলে মাস শেষে কেমন হবে আপনার ব্যাঙ্ক ব্যালান্স তাও আগে থেকে জেনে রাখা প্রয়োজন ৷

সেই লক্ষ্যেই আজ আমরা হেলথ সেক্টরে মাসিক ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করার সুযোগ মিলবে এমন কিছু কোর্সের হদিশ দিলাম ৷

এমারজেন্সি মেডিকেল চেক: ছয় মাসের এই কোর্সে জরুরি মেডিকেল পরিস্থিতিতে অ্যাম্বুলেন্স অথবা হাসপাতালে রোগীকে সামলানোর ট্রেনিং দেওয়া হয় ৷

ডায়ালিসিস টেকনিশিয়ান: এই কোর্সে ডায়ালিসিস মেশিন কিভাবে অপারেট করা যায়, তা শেখানো হয় ৷ ভারতে কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান ৷ ফলে ডায়ালিসিস মেশিন সামলানোর জন্য দক্ষ কর্মীর চাহিদা বিপুল ৷ অতএব এক বছরের এই কোর্সের পর চাকরি পেতে খুব একটা অপেক্ষা করতে হবে না ৷

এক্স-রে টেকনিশিয়ান: যেকোনও প্যাথ ল্যাবেই নূন্যতম এক্স-রে ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক ৷ আট মাসের এই কোর্সে X-ray -এর আধুনিক যন্ত্রপাতির যত্ন ও সেফটি রেগুলশন সহ পরিচালনার সমস্ত খুঁটিনাটি শেখানো হয় ৷ বর্তমানে স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে এক্স-রে টেকনিশিয়ানের চাহিদা বিপুল ৷

ডেন্টাল অ্যাসিসটেন্ট: দাঁতের সমস্যা মেটাতে আজকাল ডেন্টিস্টরা আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্য নেন ৷ এই যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে ব্যবহার করার জন্য দরকার দক্ষ ডেন্টাল অ্যাসিসটেন্ট ৷ মাত্র ৬ মাসের কোর্স শেষে এই পেশায় যোগ দিতেই পারেন ৷

হোম হেলথ এইড: শহরাঞ্চলে ক্রমশ বাড়ছে প্রবীণ, অশীতিপর বৃদ্ধ-বৃদ্ধার সংখ্যা ৷ বয়সজনিত রোগ বা বয়স হওয়ার কারণে তাদের দরকার যত্ন ও সেবা ৷ অথবা পঙ্গু-বিকলাঙ্গ ব্যক্তি, যারা নিজের কাজ নিজেরা করতে পারেন না, তাদের খেয়াল রাখার জন্য দরকার বিশেষ অ্যাটেনডেন্ট ৷ এই বিশেষ ব্যক্তিদের সেবার জন্য পাঁচ মাস থেকে এক বছরের ট্রেনিং শেষে অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে যোগ দিতে পারেন ৷

এই স্বল্প সময়ের কোর্সগুলির খরচ একেক প্রতিষ্ঠানে একেকরকম ৷ কোর্সগুলির জন্য নূন্যতম ৮০০০ টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে ৷

তবে এই কোর্সগুলির পর একজন যোগ্য প্রার্থী নূন্যতম ১০-১৫ হাজার টাকার চাকরি খুব সহজেই পেয়ে যাবেন ৷ পাঁচ-ছয় বছরের অভিজ্ঞতার পর মাসে ৫০-৬০ হাজার টাকা বেতন পাওয়া কোনও ব্যাপারই নয় ৷