You are currently viewing আত্মবিশ্বাসী করে তুলুন নিজেকে খুব সহজে

আত্মবিশ্বাসী করে তুলুন নিজেকে খুব সহজে

নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলার ২২ টি পদক্ষেপ

নিজেকে আত্মবিশ্বাসী হিসেবে উপস্থাপন করুনঃ

(১) স্মার্ট পোষাক, পরিচ্ছন্নতা, হালকা সুগন্ধী আপনার স্মার্টনেস কেবল অন্যের চোখেই না আপনার নিজের চোখেও নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। সকালে অফিসে যাবার আগে ১০ মিনিট বেশি ব্যয় করুন নিজের পেছনে। দেখবেন, সারাদিন নিজেকে প্রেজেন্টেবল আর আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে।

অঙ্গভঙ্গীতে আত্মবিশ্বাসী ভাব ফুটিয়ে তুলুনঃ

(২) মেরুদণ্ড সোজা ও মাথা উচু করে হাঁটুন। মাথা নিচু করে কুজো হয়ে হাঁটবেন না। এতে আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অন্যদের ধারণা খারাপ হবে।

(৩) সহকর্মী বা বসের নেতিবাচক কথা মনে ধরে রাখবেন না। একটি প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ কেউ প্রশংসা করে আবার কেউ ভুল ধরিয়ে দিয়ে কাজ আদায় করতে চেষ্টা করেন। বুঝতে চেষ্টা করুণ আপনার বসের মানসিকতা কেমন।হয়তো তিনি আপনার সম্পর্কে নানা নেতিবাচক কথা বলছেন আপনার কাছ থেকে তার প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ আদায় করতে। আর সেটা কি আপনার যোগ্যতার কারণেই নয়? চেষ্টা করুন নিজের ভুলগুলো শুধরে নেবার।
আবার সহকর্মীরা হয়তো অনেক সময় আপনার নামে নেতিবাচক কথা বলে থাকে, আপনার কাজের দক্ষতাকে ঈর্ষা করে বলেই এমনটা হয়!

আত্মবিশ্বাসী

কথা বলুন চোখে চোখ রেখেঃ

(৪) যখনই কারো সাথে কথা বলবেন তার চোখে চোখ রেখে কথা বলুন, কথা বলার সময় এদিক ওদিক তাকাবেন না বা অন্য কিছু করবেন না। এটি আত্মবিশ্বাসী হবার একটি অন্যতম চিহ্ন।

মনোযোগ দিয়ে শুনুন, তারপর বলুনঃ

(৫) কেউ যাখন আপনার সাথে কথা বলছেন তখন তার কথার মাঝখানে কথা বলবেন না বা প্রশ্ন করবেন না। আগে শুনুন। এতে তিনি ভাববেন আপনি তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং তখন তিনিও আপনার কথা শুনতে আগ্রহী হবেন। কেউ যখন আপনার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

নিজের ব্যাপারে নেতিবাচক কথা বলবেন নাঃ

(৬) আমি খুব অগোছালো, ডেডলাইন ছুঁতে পারি না, ধীরে কাজ করি, অন্যদের মত ভালো প্রেজেন্টেশন করতে পারি না, ইত্যাদি নিজের নেতিবাচক দিকগুলো কখনোই কর্মস্থলে বলতে যাবেন না। নিজের ইতিবাচক দিকগুলো বলুন, এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে আবার সহকর্মী বা বসের কাছেও আপনি গ্রহণযোগ্যতা পাবেন।

মানুষজনের সাথে মিশুন ও বুঝুন :

(৭) পরিচিতির গণ্ডি বাড়ানোর পাশাপাশি এটি আপনার মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপন, ব্যক্তিত্ব ও জ্ঞানের পরিধি বাড়াবে। আশেপাশে মানুষের একটি বড় বৃত্তে আপনি অনেক বেশি নিরাপদ ও আত্মবিশ্বাসী বোধ করবেন।

নিজের প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তিগুলো লিখে ফেলুনঃ

(৮) মানুষজনের কথায় কেবল নিজের অপ্রাপ্তি নিয়ে হতাশায় ভুগবেন না। বরং ভাবুন নিজের প্রাপ্তিগুলো নিয়েও। লিখে ফেলুন একটি ডায়েরিতে আগামীর লক্ষ্যও। দেখবেন হারানোর চেয়ে অর্জন আর সম্ভাবনায়ই ভরে উঠেছে আপনার খাতা ও মন।

আগ্রহের জায়গায় দক্ষতা বাড়ানঃ

(৯) ভাষা, পড়াশোনা বা প্রযুক্তি, যেখানেই আপনার আগ্রহ থাকুক না কেন, দক্ষতা বাড়ান, আপনার পেশাদারী আত্মবিশ্বাসে একটি নতুন পালক যুক্ত হবে, সন্দেহ নেই।

আত্মবিশ্বাসী

অন্যদের সাহায্য করুনঃ

(১০) যতটা সম্ভব অন্যদের সাহায্য করুন। সমাজসেবা জাতীয় সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকুন। অন্যের উপকার করার মধ্য দিয়ে আপনি নিজের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠবেন। নিজেকে নিজে বড় ভাবতে না পারলে আপনার আত্মবিশ্বাস কখনোই বাড়বে না।

ক্ষতিকর মানুষদের সঙ্গ ত্যাগ করুনঃ

(১১) যারা কেবল আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক কথাই বলে ও সুযোগ পেলে আপনার ক্ষতি করতেও দ্বিধা করবে না, হোক বন্ধু বা সহকর্মী, এদের কাছ থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখুন। আপনার কনফিডেন্স লেভেল কমাতে এদের জুড়ি নেই।

সাফল্য প্রত্যাশা করুন, ততটুকুই কাজ নিন, যতটা শেষ করতে পারবেনঃ

(১২) নিজেকে দায়িত্বশীল প্রমাণ করতে গিয়ে অতিরিক্ত কাজ কাঁধে নিয়ে ভালোভাবে না করতে পারলে সেই ব্যর্থতা আপনার আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেবে। এর চেয়ে যতটুকু সম্ভব ততটুকু কাজ আর ভালো দক্ষতাকে মূলমন্ত্র করেই সফলতার দিকে এগিয়ে যান।
আপনি জন্মেছিলেন আত্মবিশ্বাস নিয়েই, হয়তো নানা কারণে তা কমে যাচ্ছে। কিন্তু আপনিই পারেন আপনার হারানো আত্মবিশ্বাসকে ফিরিয়ে আনতে।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন:

(১৩) কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যমেই আপনার দিন শুরু করুন। খুব ছোটখাটো বিষয়েও আপনি আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারেন (যেমন এটা হতে পারে ছোট কোনো উপহার, কিংবা কারো প্রশংসা )। আপনি যদি দিনের শুরুতেই এসব বিষয় আপনার দৃষ্টিভঙ্গীতে প্রবেশ করাতে পারেন, তাহলে তা নিঃসন্দেহে আপনার সারা দিনের কার্যক্রমে ভালো প্রভাব ফেলবে। সেই সাথে আপনার মনে হবে, দিনটি আপনার ভালই যাবে। বাস্তবেও তাই ঘটে থাকে।

আত্মবিশ্বাসী

উত্থান-পতনের জন্য প্রস্তুত থাকুন:

(১৪) কাজে ব্যর্থতাই আমাদের আত্নবিশ্বাস নষ্ট করার জন্য দায়ী। সেক্ষেত্রে হাল ছেড়ে দিয়ে বসে থাকলে চলবে না। আবারও নতুন উদ্যোমে কাজ শুরু করুন। কারণ একটি কাজে যখন আমরা ব্যর্থ হয় তখন একটু চিন্তা করলেই আমরা আমাদের ব্যর্থতার কারণগুলো খুব ভালভাবে ধরতে পারি। আর ব্যর্থতাগুলো থেকেই আমরা আমাদের জীবনকে ভালভাবে বোঝার শিক্ষা নিতে পারি। জীবনে যত বেশি উত্থান-পতন ঘটবে, মনে রাখবেন, আপনার লক্ষ্য ততই নিকটে। আর এতে করে আপনার আত্মবিশ্বাস আবারও নতুন করে গড়ে উঠবে।

পরামর্শদাতার সন্ধান করুন:

(১৫) যে কোনো কাজেই সফল হতে চাইলে অবশ্যই একজনকে আদর্শ মানতে হয়। কারণ নিজে নিজে সব ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয় না। তখন পরামর্শদাতাই আপনাকে সঠিক পথের সন্ধান দিবে। তাই আগেই একজন পরামর্শদাতার খোঁজ করুন। কারণ পরামর্শদাতার পরামর্শই আপনার আত্নবিশ্বাসকে বাড়াতে অনেক বেশি সাহায্য করবে।

আদর্শ সঙ্গী বাছাই করুন:

(১৬) জীবনে চলার পথে অনেক মানুষের সাথেই মিশতে হয়। সেক্ষেত্রে আদর্শ সঙ্গী বাছাই করার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। কারণ কিছু লোকের নেতিবাচক কথাবার্তা আপনার আত্নবিশ্বাসকে নষ্ট করে দিতে পারে। তাই আগে থেকেই সাবধান হোন। যেসব মানুষ আপনাকে উৎসাহ দেয় এবং উচ্চ স্থানে যেতে উৎসাহিত করে তাদের সঙ্গে সবসময় চলাফেরা করুন। তাতে বরং আপনার আত্নবিশ্বাসের ঘাটতি হবে না।

আত্মবিশ্বাসী

প্রতিদিন অন্তত একবার নিজের গণ্ডীর বাইরে যান:

(১৭) প্রতিদিন অন্তত একবার নিজের গণ্ডীর বাইরে বের হলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। কারণ জ্ঞাণের পরিধি যত বেশি সমৃদ্ধ হবে আপনার আত্নবিশ্বাসই নিজে থেকে ততটাই বেড়ে যাবে। তাই ঘরে বসে না থেকে আপনার প্রয়োজনের তাকিদেই প্রতিদিন অন্তত একবার বাড়ির বাইরে যান।

সমালোচনা মেনে নেওয়ার মানসিকতা তৈরি করুন:

(১৮) আপনি শুধু সামনের দিকে এগোতে থাকলে বিরোধী পক্ষ আপনাকে প্রশ্ন, সমালোচনা, সন্দেহ করবে। সেক্ষেত্রে চিন্তার কোনো কারণ নেই। পিছে লোকে কিছু বলে-এই নীতিতে কান না দিয়ে এগিয়ে চলুন। তাতে আপনার আত্নবিশ্বাস আরও বাড়বে। সবসময় মনে রাখবেন, আপনি ভাল কিছু করছেন বলেই লোকেরা আপনাকে নিয়ে এত কিছু বলাবলি করছে। তাই পিছনের দিকে না তাকিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলুন, সফলতা আসবেই।

সামান্য গড়মিল থাকলেও এগিয়ে চলুন:

(১৯) কোনো কাজ করতে গেলে সব যোগ্যতাই যে আপনার মাঝে থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই। বরং নিজের দক্ষতা আর আত্নবিশ্বাসের জোরেই যে কোনো কাজে সফলতা লাভ করা যায়। কাজেই আপনার কোনো যোগ্যতা কম থাকলেও আত্নবিশ্বাসের জোরেই এগিয়ে যান। দেখবেন, সফলতা আপনার হাতে এসে ধরা দিবেই।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও অনুশীলন করুন:

(২০) পর্যাপ্ত ঘুম, অনুশীলন ও পর্যাপ্ত পুষ্টিসম্পন্ন খাবার আপনার মুড ভালো করবে। একইসাথে আপনার কর্মক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাসকেও বাড়িয়ে তুলবে। আবার প্রতি সপ্তাহে তিনবার মাত্র ২০ মিনিটের শারীরিক অনুশীলন আপনাকে শুধু বিষণ্ণতা থেকেই মুক্তি দিবে না, বরং অ্যালঝেইমার্সের মতো রোগ থেকে দূরে রাখবে।

আত্মবিশ্বাসী

বড় করে শ্বাস নিন:

(২১) বড় করে শ্বাস নিলে আপনার রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কে অক্সিজেন প্রবেশ করে। এতে আপনার মস্তিষ্কের চেতনা বৃদ্ধি পায়। ফলে যে কোনো কাজ করতে গেলে এতে করে আপনার আত্নবিশ্বাস বেড়ে যাবে। এমনকি কোনো শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতেও বড় করে শ্বাস নেওয়া এ কারণে গুরুত্বপূর্ণ।

কাজের আগেই প্রস্তুতি নিন:

(২২) প্রত্যেক পরিস্থিতিতেই আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখলে আত্মবিশ্বাস অনেক গুণ বেড়ে যায়। আবার অনেকবার অনুশীলন করা, রেকর্ড করা ও শুনলেও আত্নবিশ্বাস বেড়ে যায়। তাই যে কোনো কাজেই আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন তাহলে উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতি আপনি মোকাবেলা করতে পারবেন।

অন্য কিছু জানতে : :  চাকুরীর খবর  ::  টেকনোলোজিক্যাল নিউজ  :: ছাত্রসংবাদ